সংবাদচর্চা অনলাইনঃ
পেটের ভেতর করে ইয়াবা পাচারের সময় নারায়ণগঞ্জের বন্দর থেকে ১ মাদক পাচারকারীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১। এ সময় তার কাছ থেকে ১ হাজার ৫০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
রোববার ৭ই মার্চ সকাল ৯টার দিকে অভিযান চালিয়ে নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানার মদনপুর এলাকা হতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামী রমজান শেখ রাজবাড়ী জেলার সদর থানার আন্দারমানিক গ্রামের আলম শেখের ছেলে।
সোমবার সকালে র্যাব-১১’র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জসিম উদ্দীন চৌধুরীর পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
র্যাব জানায়, গোপনসূত্রে মদনপুর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে অবস্থিত রাফি ফিলিং স্টেশন এর সামনে কক্সবাজার থেকে ঢাকাগামী শ্যামলী পরিবহন হতে রমজান শেখকে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে রমজান শেখ’কে হাসপাতালে নিয়ে তার পেটের ভিতর হতে ১০৫০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। সে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন কৌশলে ইয়াবা পাচার করে আসছে। সে দীর্ঘদিন ধরে অভিনব কায়দায় পেটের ভিতর ইয়াবা ঢুকিয়ে টেকনাফ থেকে বাসযোগে ঢাকায় এসে নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকার মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে ইয়াবার চালান পৌঁছে দিয়ে আসছে।
র্যাব আরও জানায়, আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তার কথা ও আচরণে অসংলগ্নতা এবং অস্বাভাবিকতা প্রকাশ পেলেও ইয়াবা পাচারের বিষয়ে সে অস্বীকার করে। অতঃপর গোপনসূত্রে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী তার পেটের ভিতর ইয়াবা রয়েছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন আলিফ ডক্টরস চেম্বার এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে এক্স-রে করে দেখা যায় তার পেটের ভিতর অসংখ্য ডিম্বাকৃতির বস্তু বিশেষ রয়েছে।
জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে গ্রেফতারকৃত রমজান শেখ স্বীকার করে যে তার পেটের ভিতর কালো টেপ দিয়ে মোড়ানো ছোট ছোট ২১টি ইয়াবার পোটলা রয়েছে যার প্রত্যেকটিতে ৫০ পিস করে মোট ১০৫০ পিস ইয়াবা রয়েছে। সে আরও স্বীকার করে যে, টেকনাফে এই ইয়াবার পোটলাগুলো সে খাবারের সাথে গিলে খায় এবং কলা এবং পাউরুটি খেয়ে সেই পোটলাগুলো পায়ু পথ দিয়ে বের করে।
পরে হাসপাতালের জরুরী বিভাগের ডাক্তারের চিকিৎসা প্রদানের পর হাসপাতালের টয়লেটে গিয়ে তার পায়ু পথ দিয়ে কালো টেপ দ্বারা মোড়ানো ছোট ছোট ডিম্বাকৃতির ২১টি পোটলা বের করে দেয়। উক্ত পোটলাগুলো হতে প্রত্যেকটিতে ৫০ পিস করে মোট ১০৫০ পিস ইয়াবা পাওয়া যায়।
গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।